শিরোনাম :
বিএনপি পন্থী কৃষিবিদ সংগঠনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের তৎপরতা! পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতের কোম্পানি বাড়াতে সেমিনার করবে বিজিএমইএ ৫০ কোটি টাকা কর ফাঁকি : সাঈদ খোকন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ বিকাশ থেকে ব্যাংক, ব্যাংক থেকে রকেট: এক প্ল্যাটফর্মে হবে সব লেনদেন জবিতে এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাংলাদেশ আরটিজিএস ব্যবস্থায় নতুন লেনদেন সূচি ঘোষণা বাংলাদেশ রপ্তানি এলসি কমেছে ১১.১১%, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হ্রাসের প্রভাব আগোরা লিমিটেড অ্যাকাউন্টস সুপারভাইজার পদে নিয়োগ, আবেদন শেষ ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইসলামী ব্যাংক শুদ্ধি অভিযান: ৪০০ কর্মী চাকরি হারালেন, দক্ষতা যাচাইয়ের অংশ চট্টগ্রাম বন্দর ট্যারিফ বৃদ্ধি: ১৪ অক্টোবর থেকে নতুন হারে কনটেইনার হ্যান্ডলিং খরচ বৃদ্ধি

ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ১৫৯ পড়া হয়েছে

ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী। বাংলাদেশে তো বটেই, এমনকি বিশ্বেও প্রথম গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি ক্ষুদ্রঋণের ধারণা দিয়েছেন।

ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে জামানত ছাড়া ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তদুপরি শুধু স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, বরং এর মাধ্যমে বর্তমানে অসংখ্য মানুষ স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী হয়েছে। সমগ্র বিশ্বেও এই ধারণা সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যার পরিণামে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসার ধারণাকেও অধ্যাপক ইউনূস জনপ্রিয় করে তুলেছেন। যে কারণে অনেক তরুণ বর্তমানে সফল উদ্যোক্তা হতে পেরেছেন।

এরপর গ্রামীণ ব্যাংক ও অধ্যাপক ইউনূসের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অগণিত এনজিও গরিব ও প্রাপ্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসেন। ফলে, এর প্রসার ঘটতে শুরু করে। নতুন নতুন ধারণা নতুন নতুন জিনিস নিজেদের সুবিধার জন্য ঢোকাতে শুরু করেন। এটি ভবিষ্যতের জন্য নেতিবাচক হতে পারে বিবেচনায় ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা রেগুলেটরি অথরটি গঠনের প্রয়োজন দেখা দেয়। সেই প্রেক্ষাপটে গঠিত হয় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা মাইক্রোকেডিট রেগুলেটরি অথরটি (এমআরও)। তবে সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, মাইক্রোকেডিট এখনো রয়েছে এনজিও হিসেবে, এ পর্যায়ে থেকে গেলে ব্যাংকিংয়ের মেজাজ আসবে না। পরিবর্তে এটাকে ব্যাংক হতে হবে।

মাইক্রোক্রেডিটের জন্য আলাদা আইন করতে হবে। এটি প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মতো হবে না। ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক চলবে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থাার ওপর। এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে কোনো জামানত লাগবে না। এর পাশাপাশি এই ব্যাংকের বড় উদ্দেশ্য হবে সামাজিক ব্যবসাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া। ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহণকারী প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে হাওয়া হয়ে যায় না। যেটি প্রচলিত ধারার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ঘটে থাকে প্রায়ই।

সম্প্রতি দেশে পরিবর্তন করা হয়েছে ক্ষুদ্রঋণসংক্রান্ত আইন। আইনে ‘ক্ষুদ্রঋণ’ শব্দটিই আর থাকছে না। বদলে হচ্ছে ‘ক্ষুদ্র অর্থায়ন’। বিদ্যমান ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি-এমআরএ) রয়েছে, সেই নামেরও পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে ক্ষুদ্র অর্থায়ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে সংক্ষিপ্ত নাম আগেরটাই থাকছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, ক্ষুদ্রঋণ আর আগের জায়গায় নেই, অনেক বড় হয়েছে। ধারণাটি এখন ক্ষুদ্র অর্থায়নের।

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার মধ্যে আটকে না থেকে এখন বহুমাত্রিক কাজ করছে। সে অবস্থায় সরকারের ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এই উদ্যোগ অবহেলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন এবং দেশের ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের সুযোগ করে দেবেÑ এমনটাই প্রত্যাশা।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2024