বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (ICCB) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন’। এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীটি আয়োজন করছে চীনের দূতাবাস ও চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (CEAB), যেখানে বাংলাদেশ ও চীনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীরা একত্রিত হবেন।
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (BRI) আওতায় বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই চীনের ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সফল হয়েছে যেমন পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে নির্মিত টানেল, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি। এসব প্রকল্প শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, বরং দেশের উৎপাদন সক্ষমতা, কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন ও আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের পরিধি বাড়িয়েছে।
দ্বিতীয় বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন ২০২৫-এ অংশ নিচ্ছে প্রকৌশল, নির্মাণ, শিল্প, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক সেবা, পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, পরামর্শক সেবা ইত্যাদি খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এটি এমন একটি B2B প্ল্যাটফর্ম যেখানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা চীনা কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারবেন এবং যৌথ উদ্যোগে কাজের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
এই প্রদর্শনী শুধু একটি ইভেন্ট নয়, এটি দুই দেশের মধ্যে টেকসই অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি বাস্তব প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়িক সেমিনার, নেটওয়ার্কিং সেশন, বিনিয়োগ সংলাপ ও খাতভিত্তিক কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন তুলে ধরবে এবং বাংলাদেশের বাজারে তাদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা পর্যালোচনা করবে।
দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নের এই যাত্রায় এই এক্সিবিশন শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যতের জন্যও একটি ভিত্তি তৈরি করবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় চীনের অংশগ্রহণ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, আস্থা ও দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা বাড়াতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।